১৯৬৪ সালে ফরাসি লেখক  জাঁ পল সার্ত্রেকে তার বহুমুখী প্রতিভার জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। নোবেল পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও বেঁকে বসেন জাঁ পল সার্ত্রে। তিনি ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো পুরস্কারের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, যথাসময়ে তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়নি। এই দুটি মন্তব্য করার পর তিনি ঘোষণা দেন, আমার কোনো পুরস্কারের দরকার নেই। প্রত্যাখ্যান করেন নোবেল। এমনই ছিল তার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা।

১৯৫৮ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহিত্যিক বরিস প্যাস্টারনাককে  নোবেল পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথমত পুরস্কার নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তার দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের আপত্তির কারণে এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

১৯৭৩ সালে ভিয়েতনামের লি দো থো’কে  শান্তির ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু তিনি বলেন, যেখানে তার দেশ শক্তিধর দেশের মাধ্যমে লাঞ্ছিত হচ্ছে, জাতিকে পদদলিত করা হচ্ছে, সেখানে তার নোবেল পুরস্কার নেয়ার কোনো অর্থ হয় না। তিনি পুরস্কার নেবেন না।
১৯৩৯ সালে সালফা শ্রেণীভুক্ত ওষুধ আবিষ্কারের জন্য গেরহার্ড ডোমাখকে  চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে জার্মান একনায়ক হিটলার তাকে পুরস্কার গ্রহণ থেকে বিরত রাখেন। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হিটলার শাসনের অবসানের পর নোবেল কমিটি ডোমাখের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে সক্ষম হয়।

১৯৩৮ সালে রসায়ন শাস্ত্রে জার্মান বিজ্ঞানী রিচার্ড কান নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন । সে সময়কার জার্মান সরকার রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে কানকে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে দেয়নি।

১৯৩৯ সালে রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল অপর এক জার্মান বিজ্ঞানী এডলফ ফ্রেডরিক জোহান বাটেনান্ডকে। যৌন হরমোন আবিষ্কারের জন্য তিনি এ পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু জার্মানির নাৎসি সরকার তাকে এ পুরস্কার গ্রহণ থেকে বিরত রাখে।

Subject

International