নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী আর্নেস্ট রাডারফোর্ড(জন্ম : ১৮৭১, মৃত্যু : ১৮৪৪) ১৯১১ সালে আলফা কণা পরীক্ষার সাহায্যে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন। রাদারফোর্ড ও তাঁর সহকর্মী স্বর্ণপাতের মধ্যদিয়ে আলফা কণা চালনা করে দেখতে পান যে, বেশির ভাগ কণা সোজা ভিতর দিয়ে চলে যায়, কিছু মাঝে বেঁকে যায় এবং কিছু বাধা পেয়ে ফিরে আসে। এই ফিরে আসা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, পরমাণুর মধ্যে এমন একটি ছোট অংশ আছে যা আলফা কণা যেতে বাধা দেয়। তিনি এর নাম দেন নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস অত্যন্ত ক্ষুদ্র। নিউক্লিয়াস এত ক্ষুদ্র যে, নিউক্লিয়াসকে যদি একটি টেনিস বলের সাথে তুলনা করা হয় তবে সমস্ত পরমাণুটি হবে আমেরিকার সর্বোচ্চ ভবন অ্যাম্পেয়ার স্টেট বিল্ডিং এর মতো। পরমাণুর কণিকা তিনটি-ইলেকট্রন,প্রোটন ও নিউট্রন। এর মধ্যে প্রোটন ও নিউট্রন নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে। ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরে চতুর্দিকে ঘুরে। পরমাণুর সমস্ত ভর নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত আছে বলে মনে করা হয়। বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড পরমাণুর গঠনকে সৌরজগতের ন্যায় কল্পনা করেন। তিনি বলেন যে, সূর্যের মত পরমাণুর নিউক্লিয়াস স্থির এবং সূর্যের চারদিকে গ্রহের মতো ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে।