আলফা রশ্মি :
১) আলফা রশ্মি ধনাত্মক আধানযুক্ত আলফা কণার প্রবাহ।
২) ভর বেশি হওয়ায় এই রশ্মির ভেদন ক্ষমতা কম।
৩) এই রশ্মি চৌম্বক ও তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা বিচ্যুত হয়।
৪) এটি একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস।
৫) স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় কয়েক সেন্টিমিটার বায়ু বা ধাতুর পাতলা শিট দ্বারা এর গতি থমকে দেওয়া হয়।
বিটা রশ্মি :
১) এই রশ্মি ঋণাত্বক আধানযুক্ত।
২) এই রশ্মি চৌম্বক ও তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয়।
৩) এই রশ্মি অতি উচ্চ দ্রুতি সম্পন্ন ইলেকট্রনের প্রবাহ। এর ভর ইলেকট্রনের সমান।
৪) ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৫) এ রশ্মির ভেদন ক্ষমতা আলফা রশ্মির চেয়ে বেশি। ০.০১ মিমি পুরু এলুমিনিয়ামের পাত ভেদ করতে পারে।
গামা রশ্মি :
১) এই রশ্মি আধান নিরপেক্ষ।
২) এই রশ্মি চৌম্বক ও তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না।
৩) ্এই রশ্মির দ্রুতি আলোর সমান। এর কোন ভর নেই।
৪) ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৫) এ রশ্মির ভেদন ক্ষমতা আলফা এবং বিটা রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি।
গামা রশ্মির ক্ষতিকর :
১) এ রশ্মি শরীরে পড়লে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়।
২) মাথার চুল পড়ে যায়।
৩) এ রশ্মির ফলে ক্যান্সার ও টিউমার হতে পারে।
৪) ক্রমাগতভাবে এ রশ্মি দেহে পড়লে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
Subject
Physics