বিশেষ্য ও বিশেষণপদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রধান্যপায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীলাকাশ = নীল যে আকাশ; ভালোমানুষ = ভালো যে মানুষ, লাল যে গোলাপ= লালগোলাপ ইত্যাদি।

     কর্মধারয় সমাস প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথা :

      ১। সাধারণ কর্মধারয় সমাস        ২। মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

      ৩। উপমান কর্মধারয় সমাস        ৪। উপমিত কর্মধারয় সমাস

      ৫। রূপক কর্মধারয় সমাস

১।  সাধারণ কর্মধারয় সমাস : বিশেষণ-বিশেষ্যে, বিশেষণ-বিশেষণে, বিশেষ্য-বিশেষ্যে যে সমাস হয়, তাকে সাধারণ কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: যিনি রাজা তিনিই ঋষি =রাজর্ষি; যে চালাক সেই চতুর = চালাকচতুর; লাল যে ফুল = লাল ফুল ইত্যাদি।

২।  মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস: ব্যাসবাক্যের বিশ্লেষণমূলক মধ্যপদ লোপ পেয়ে যে কর্মধারয় সমাস হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমন : পলান্ন = পল মিশ্রিত অন্ন; হাতঘড়ি = হাতে পরার ঘড়ি ইত্যাদি।

৩।  উপমান কর্মধারয় সমাস: উপমান ও সাধারণ গুণবাচক পদ মিলে যে কর্মধারয় সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমন: বজ্রকঠিন = বজ্রে্যর ন্যায় কঠিন; মিশকালো = মিশির ন্যায় কালো ইত্যাদি। উপমান কর্মধারয় সমাসে একপদ বিশেষ্য এবং অন্যটি বিশেষণ পদ হয়ে থাকে।

৪।  উপমিত কর্মধারয় সমাস: যেখানে সাধারণ গুণবাচক শব্দের উল্লেখ থাকে না, কেবল উপমেয় ও উপমান পদে সমাস হয় এবং সাধারণ: উপমেয় পদ পূর্বে চরণ কমলের ন্যয় = চরণকমল, অধব পল্লবের ন্যায় = অধরপল্লব, পুরুষ সিংহের ন্যয় = পুরুষসিংহ ইত্যাদি।

৫।  রূপক কর্মধারয় সমাস: উপমেয়কে উপমানের সাথে অভেদ কল্পনা করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলা হয়। এ সমাসে একপদ রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন: মন রূপ মাঝি = মনমাঝি; শোক রূপ সাগর = শোকসাগর ইত্যাদি।

Subject

Bangla