অকাল কুষ্মান্ড (অপদার্থ)- মতিনের মত এক অকাল কুষ্মান্ডকে এত বড় কাজের ভার দিতে চাই না।

অমাবস্যার চাঁদ (অদর্শনীয় বস্ত্ত)-বুড়ো বয়সে ছেলে পেয়ে কলিম মন্ডল যেন অমাবস্যার চাঁদ হাতে পেলেন।

অথৈ জলে পড়া (ভীষণ বিপদে পড়া)-বিষয় সম্পত্তি সব হারিয়ে তিনি অথৈ জলে পড়লেন।

অগাধ (গভীর) জলের মাছ (অতি চালাক)-প্রমথবাবু অগাধ জলের মাছ; তার ফাঁকি বোঝা তোমার কাজ নয়।

অহি-নকুল বা সাপে-নেউলে বা দা-কুমড়া সর্ম্পক (শত্রু সম্পর্ক)-ভাইয়ে ভাইয়ে অহি-নকুল সম্পর্ক থাকা ভাল নয়।

অন্ধের যষ্টি বা নড়ি (একমাত্র অবলম্বন)-বিধবার অঞ্চলের নিধি, অন্ধের যষ্টি এ ছেলেটিকে কেড়ে নিওনা ঠাকুর।

অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া)-মাঘ মাসের প্রচন্ড শীতে বৃদ্ধটি অক্কা পেয়েছে।

অর্ধচন্দ্র (গলাধাক্কা)-দুষ্ট চাকরটিকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দিয়েছি।

অগস্ত্য যাত্রা (চিরতরে যাত্রা)-শিক্ষকের সাথে দুব্যবহার করে বড়লোকের ছেলেটি স্কুল থেকে অগস্ত্য যাত্রা করেছে।

অরণ্যে রোদন (বৃথা-চেষ্টা)-কৃপণের কাছে সাহায্য চাওয়া অরণ্যে রোদন মাত্র।

অকালবোধন (অসময়ে আবির্ভাব)-চৈত্র মাসে তাল; এ যে অকালবোধন দেখছি।

অন্ধকারে ঢিল মারা (আন্দাজে কোন কাজ করা)-লেখাপড়া না করে পরীক্ষায় অন্ধকারে ঢিল মারলে কোন কাজ হবে না।

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা (অনুরোধে অসম্ভব কাজ করা)-আমার বিবেকে আমি কাজ করি; পরের অনুরোধে ঢেঁকি গিলতে রাজি নই।

অগ্নি পরীক্ষা (কঠোর পরীক্ষা)-প্রেমের অগ্নি পরীক্ষায় ওরা টিকে গেছে; বিয়ে ওদের সুনিশ্চিত।

অগ্নিশর্মা (অতিশয় ক্রুদ্ধ)-নীতিবান লোক অন্যায় দেখলে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন।

আকাশ কুসুম (অসম্ভব কল্পনা)-গরিবের ছেলে কোটিপতি হতে চায়; এ যে আকাশ কুসুম ভাবনা।

আক্কেল গুড়ূম (হতবুদ্ধি হওয়া)-তার ঔদ্ধত্য দেখে সবার একেবারে আক্কেল গুড়ূম।

আক্কেল সেলামি (বোকামির দন্ড)-বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করে সে দুশ‘ টাকা আক্কেল সেলামি দিয়েছে।

আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়া (মহাবিপদ উপস্থিত হওয়া)-উপার্জনক্ষম একমাত্র পুত্রের মৃত্যুতে বৃদ্ধের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল।

আষাঢ়ে গল্প (অবিশ্বাস্য কাহিনী)-তোমার আষাঢ়ে গল্প এখন বন্ধ কর।

আগুন লাগা সংসার (ক্ষয়িষ্ণু সংসার)-এ যে আগুন-লাগা সংসার, এর উন্নতি আর আশা করা যায় না।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (হঠাৎ বড়লোক হওয়া)-যুদ্ধের বাজারে ব্যবসা করে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।

আলালের ঘরের দুলাল (আদুরে)-আদর দিয়ে ছেলেকে আলালের ঘরের দুলাল করে তুললে তার ক্ষতিই হয়।

আঁতে ঘা লাগা (মনে কষ্ট পাওয়া)-সত্য কথা বলাতে তার আঁতে ঘা লেগেছে।

আসরে নামা (আবিভূর্ত হওয়া)-অনেকক্ষণ মূখ বুজে থাকার পর তিনি আসরে নামলেন।

ইতর বিশেষ (ভেদাভেদ)-ছোট-বড় কোন ইতর বিশেষ আমি পছন্দ করি না।

ইচঁড়ে পাকা (অকাল পক্ব)-ছেলেটি কী ইঁচড়ে পাকা। কাপড় ধরেনি, অথচ, সিগারেট ধরেছে।

ঈদের চাঁদ (অতি আকাঙিক্ষত বস্ত্ত)-বহুদিন পরে হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে বিধবা মা যেন ঈদের চাঁদ হাতে পলে।

উড়নচন্ডী (অমিতব্যয়ী)-বড়লোকের ছেলেরা প্রায়ই উড়নচন্ডী হয়।

উত্তম-মধ্যম (প্রহার) চোরটিকে সবাই উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদায় করল।

উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে (একের দোষ অন্যের উপর)-দোষ করল মীরা, মার খেল হীরা; একেই বলে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।

ঊনপাঁজুরে (দুর্বল)-এ ঊনপাঁজুরে মেয়েটির লতা নাম ঠিকই হয়েছে।

এক হাত লওয়া (জব্দ করা)-বাগে পেলে তাকে এক হাত নিতে ছাড়বো না।

একচোখা (পক্ষপাতিত্ব)-কোন বিচার কার্যে একচোখা হওয়া উচিত নয়।

এক মাঘে শীত যায় না (একবারে বিপদ শেষ হয় না)-টাকা ধার নিয়ে আত্মগোপন করেছে; কিন্তু এক মাঘে শীত যায় না, এ তার জানা উচিত।

একাদশে বৃহস্পতি (সুসময়)-করিম সাহেবের এখন একাদশে বৃহসঙতি; ধুলো ধরলে সোনা হয়।

ঔষুধে ধরা (প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া)-পরিচালক আপনার বুদ্ধি নিয়েছে; এবার ওষুধে ধরেছে।

ওজন বুঝে চলা (আত্মসম্মান বজায় রাখা)-নিজের ওজন বুঝে না চললে অপমানিত হতে হয়।

কই মাছের প্রাণ (যে সহজে মরে না)-বুড়ো লোকটির কই মাছের প্রাণ; এত অসুখেও মরছে না।

কাষ্ঠ হাসি (কপট হাসি)-ভদ্রতার খাতিরে কেবল সে কাষ্ঠ হাসি হাসল।

কপাল ফেরা (অবস্থা ভাল হওয়া)- লটারিতে দুই লাখ টাকা পেয়ে তার কপাল ফিরছে।

কান ভারি করা (কুপরামর্শ দেওয়া)-সে নানা কথা বলে আমার বিরুদ্ধে বড় সাহেবের কান ভারি করে তুলেছে।

কলুর বলদ (পরাধীন)-চোখে ঠুলি দেওয়া কলুর বলদের মত আমরা দিনরাত কেবল সংসারের ঘাটি টেনেই চলছি।

কেঁচে গন্ডূষ করা (পুনরায় আরম্ভ করা)- ছোট ভাইকে অঙ্ক শেখাতে গিয়ে আবার কেঁচে গন্ডুষ করতে হচ্ছে।

কংস মামা (নির্মম আত্মীয়)-আত্মীয়রা সব যে কংস মামার দল; বিপদে এগিয়ে আসবে না কেউ।

ক-অক্ষর গোমাংস (বর্ণ পরিচয়হীন)-এমন জ্ঞানী লোকের ছেলে কিনা ক-অক্ষর গোমাংস।

কাক-ভূষন্ডী (দীর্ঘায়ু ব্যক্তি)-এ কাক-ভূষন্ডী লোকটার কই মাছের প্রাণ; কত মাঘের শীত গেল, তবু সে মরল না।

কাঠালের আমসত্ত্ব বা সোনার পাথরবাটি (অসম্ভব বস্ত্ত)- শক্তির যুগে নিরস্ত্রীকরণ; এ যেন কাঁঠালের আমসত্ত্ব কিংবা সোনার পাথরবাটি।

কূপমন্ডুক (সীমাবদ্ধ জ্ঞানসম্পন্ন)-স্ত্রীলোকটি কূপমন্ডক হলেও অতি শান্ত ও মিষ্টভাষিণী।

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা (শত্রু দিয়ে শত্রু নাশ)-ডাকাত লাগিয়ে ডাকাত ধরেছি; মানে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলেছি।

কত ধানে কত চাল (ঠিকঠাক হিসাব)-বাবার উপর খাও; তাইতো বোঝো না কত ধানে কত চাল।

কাঠের পুতুল (নির্বাক, অসার)-কাঠের পুতুলের মত বসে আছ কেন ? কাজে মন লাগাও।

কচুবনের কালাচাঁদ (অপদার্থ)-খাবে আর ফূর্তি করবে; লেখাপড়ার বালাই নেই, পোশাকে পরিপাটি; এ যে কচুবনের কালাচাঁদ।

খয়ের খাঁ (তোষামুদকারী)-বড় লোকের খয়ের খাঁর অভাব নেই।

খাল কেটে কুমির আনা (বিপদ ডেকে আনা)-আমার একা ব্যবসায়ে তাকে অংশীদার করে খাল কেটে কুমির এনেছি।

গলগ্রহ (পরের বোঝা হয়ে থাকা)-কারো গলগ্রহ হয়ে থাকতে চাই না।

গোকুলের ষাঁড় (স্বেচ্ছাচারী)-খায় দায় আর ঘুরে বেড়ায়; ছেলেটি যেন গোকুলের ষাঁড়।

গোঁয়ার গোবিন্দ (কান্ডজ্ঞানহীন)-সলিম মোল্লার ছেলেটি একেবারে গোঁয়ার গোবিন্দ; ভয়ও নেই, ভাবনাও নেই।

গুড়ে বালি (আশায় নৈরাশ্য)-আমার উপর চিরদিন খাবে, সে আশা গুড়ে বালি।

গোঁফ-খেজুরে (অলস) -তার মত গোঁফ-খেজুরের জীবন আবার স্বাচ্ছন্দ্য।

গৌরচন্দ্রিকা (ভণিতা)-গৌরচন্দ্রিকা বাদ দিয়ে আসল কথা বল।

গড্ডলিকা প্রবাহ (অন্ধ অনুকরণ)- গড্ডলিকা প্রবাহে জীবন ভাসিয়ে দিলে উন্নতির আশা গুড়ে বালি।

গোবরে পদ্মফুল (অস্থানে ভাল জিনিস)- দুঃখিনী বিধবার সুন্দরী মেয়ে; এ যে গোবরে পদ্মফুল।

গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা (যার ধনে তার তুষ্টি সাধন)-নজরুল জয়ন্তীতে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করে আমি গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা করলাম।

ঘোড়ার ঘাস কাটা (বাজে কাজ করা)-চাল নেই, চুলো নেই, দুপয়সার সঞ্চয় নেই; সারা জীবন ঘোড়ার ঘাস কেটেছে।

ঘোড়ার ডিম (অবাস্তব বস্ত্ত)-সারা বছর লেখাপড়া নেই, পরীক্ষায় পাবে ঘোড়ার ডিম।

ঘোড়া রোগ (বাতিক)-ভাত নেই, কাপড় নেই, তার আবার সিনেমা দেখার শখ; গরিবের এ ঘোড়া রোগ কেন ?

ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া (উপরওয়ালাকে টপকাইয়া স্বার্থ উদ্ধার করা)- প্রমোশন চাও, বড় সাহেবকে ধরো; ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়ার চেষ্টা করো না।

ঘটিরাম (অপদার্থ)- কপাল ভাল থাকলে ঘটিরামদেরও ভাল চাকরির অভাব হয় না।

Subject

Bangla