আলমগীর কবীর

‘বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিল্প অত্যন্ত গুরত্ব পুর্ণ একটি শিল্প। এই শিল্প থেকে আসছে দেশের মোট আয়ের একটি বড় অংশ এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থান। আর টেক্সটাইল শিল্পের উন্নয়নের জন্য দরকার দক্ষ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে টেক্সটাইল খাতে কাজের চাহিদা বাড়ছে, ফলে এখান থেকে পড়াশোনা করে কাউকে বসে থাকতে হয় না। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার গুরম্নত্ব নিয়ে বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরম্নল হাসান। টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষমানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষেওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

ভর্তির খুঁটিনাটি

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্প্রিং, সামার এবং ফল সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। একজন শিক্ষার্থী টেক্সটাইল প্রোগ্রামটি ১৬৩ ক্রেডিট আওয়ারে  সম্পন্ন করতে পারবে। এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ অথবা প্রত্যেকটিতে ২.৫০ পয়েন্ট অথবা এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষায় যে কোন একটিতে সর্বনিম্ন ২ পয়েন্টসহ মোট ৬ পয়েন্ট। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষায় মোট ৫ পয়েন্ট। এই প্রোগ্রাম শেষ করতে সর্বোচ্চ ৪ বছর সময় লাগে। বি.এস.সি ইন টেক্সটাইলে ভর্তি হতে ভর্তি ফি প্রথমে লাগবে ১৯,৯০০ টাকা এছাড়া ভর্তি ফিসহ সর্বমোট খরচ পড়বে ৪,২৩,৭৫০ টাকা। তবে মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ছেলে মেয়ের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

শিক্ষা ফি মওকুফ

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সটি বাংলাদেশের মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে রয়েছে দেশি-বিদেশি ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ, এছাড়া সকল আবশ্যিক ল্যাব, সমুন্নত লাইবেª্রর, ইন্টারনেট ইত্যাদি। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যে আছে ১০ থেকে ১০০ ভাগ বৃত্তি, বা ফি মওকুফের সুযোগ, এছাড়া রঢেছে স্টাডি লোন, বিদেশে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা এবং  এবং সান্ধ্যকালীন ক্লাসের ব্যবস্থা। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির বেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ২.৫০  থেকে  ৪.৪৯ পর্যমত্ম বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ ভাগ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষা ফি মওফুক করে থাকে, জিপিএ ৫.০০ ( সাধারণ) এরা ৭৫ ভাগ ও গোল্ডেন জিপিএ এরা ১০০ ভাগ শিক্ষা ফি মওকুফ করার সুযোগ পায়। এয়াড়া ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সেমিস্টারে ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষা ফি মওকুফ করা হয়।

লাইব্রেরির ব্যবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে রয়েছে টেক্সটাইল বিভাগের সকল প্রয়োজনীয় বই ও জার্নাল্। তাছাড়া বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে সর্বমোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২০,০০০ টি। জার্নাল ও বইয়ের সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি করা হচেছ। তাছাড়া লাইব্রেরীটি কম্পিউটারাইজ্ড করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং ই-লাইব্রেরী সিসটেমের সাথে যুক্ত হওয়ার লক্ষে ডাটাবেজ তৈরীর কাজ এগিয়ে চলছে। বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অনলাইনে প্রায় ২৫০,০০০ বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার এবং এনসাইক্লোপেডিয়া সহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরন ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কিছু লাইব্রেরীর ব্যবস্থা রয়েছে।

শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদেরও মূল্যায়নের জন্য রযেছে বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। আধুনিক ধারার পঠন-পাঠন ও মূল্যায়ন ছাড়াও শিক্ষার্থীদের চাকুরী ও স্ব-কর্মসংস্থানে উপযোগী করা হলো এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রতিটি বিষয়ে ৩ ক্রেডিট আওয়ার বা ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে ; যার ৬০ ভাগ চলমান প্রক্রিয়া ও ৪০ ভাগ সেমিস্টার ফাইনালের জন্য নির্ধারিত। চলমান প্রক্রিয়ায় শ্রেনী অভ্যন্তরে মূল্যায়ন, ১ম ও ২য় মিডটার্ম পরীক্ষা ও প্রজেক্ট পেপার রয়েছে। নির্ধারিত সংখ্যক উপস্থিতি ছাড়া কোন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নে কোন পর্বেই অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না।

চাকরির বাজার

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরির বাজার সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন ‘ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা বহুমুখি সেক্টওে কাজ করতে পারে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্পিনিং মিল, টেক্সটাইল মিল, ওয়েভিং মিল, বায়িং হাউজ, জুট মির কর্পোরেশন, ডায়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ইন্ডাস্ট্রি, বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি করার সুযোগ পাবে।’ ইতিমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সচিব, সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা, ব্যাংক-বীমা, ইন্সুরেন্স, বহুজাতিক কোম্পানি, পিডিবি সহ বিভিন এনজিওতে  নিয়োজিত আছেন।

লাইব্রেরী

বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে রয়েছে টেক্সটাইল বিভাগের প্রয়োজনীয় বই ও জার্নাল্। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইবেª্ররতে বইয়ের সংখ্যা প্রায় বিশ হাজার। জার্নাল ও বইয়ের সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি করা হচেছ। তাছাড়া ই-লাইব্রেরী সিস্টেমের সাথে যুক্ত হওয়ার লক্ষে ডাটাবেজ তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অনলাইনে প্রায় ২৫০,০০০ বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার এবং এনসাইক্লোপেডিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।